দূষণ থেকে মুক্তি চাই প্রসঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকের কাছে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর
কারখানার বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থ কিভাবে তোমার আবাসিক এলাকার পরিবেশ ক্রমেই দূষিত করে তুলেছে, জীবন কিভাবে বিপন্ন হয়ে উঠেছে সে অভিজ্ঞতা জানিয়ে কোন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের কাছে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর ।
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক আমার দেশ,
১০২, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
সম্পাদক
দৈনিক আমার দেশ,
১০২, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
জনাব,
আপনার জননন্দিত ও বহুল প্রচলিত 'দৈনিক আমার দেশ' পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে নিম্নলিখিত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
নেছার উদ্দীন (নাসির বিশ্বাস)
ব্যাংক টাউন
সাভার, ঢাকা ।
তারিখ : ২৫/০৫/২০২৪
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ব্যাংক টাউন একটি প্রসিদ্ধ অঞ্চল । বংশাই নদীর তীরবর্তী এ এলাকায় শতাধিক ফ্ল্যাট বাড়িতে প্ৰায় চার বাজার লোকের বাস। যাদের অধিকাংশই সরকারি কর্মকর্তা। ঢাকা শহরের কোলাহলযুক্ত পরিবেশ থেকে একটু নিরিবিলি কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বাস করার মানসে এ আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ এলাকাটি গড়ে ওঠে। এলাকার দক্ষিণ পাশে বংশাই নদী এবং উত্তর পাশে রয়েছে এককালে স্রোতস্বিনী বড় খাল। যা সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে মৃত, সরু ও লুপ্ত খালে পরিণত হয়েছে। খালের বিপরীত পাশে গড়ে উঠেছে ‘দোয়েলসহ' বিখ্যাত কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত বর্জ্য সরুখালে পতিত হয় এবং স্রোতের অভাবে বর্জগুলো মাসের পরে মাস জমে থেকে ভয়াবহ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এককালে এখানে প্রচুর মাছ মিললেও বর্তমানে তা একেবারেই লুপ্ত। উপরন্তু কারখানা নিঃসৃত দুর্গন্ধ বর্জ্যের জন্য ব্যাংক টাউনের অধিবাসীদের বাস করা একেবারেই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে ইতোমধ্যেই এলাকার অধিবাসীদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। যক্ষ্মা, হাঁপানি, সর্দি, জ্বর, এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক অসুখে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে শিল্প-কল-কারখানার কর্তৃপক্ষ বরাবরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি। অথচ এহেন অবস্থায় এমনি অস্বাস্থ্যকর দূষিত পরিবেশ মানুষ বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
দূষণ থেকে মুক্তি চাই
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ব্যাংক টাউন একটি প্রসিদ্ধ অঞ্চল । বংশাই নদীর তীরবর্তী এ এলাকায় শতাধিক ফ্ল্যাট বাড়িতে প্ৰায় চার বাজার লোকের বাস। যাদের অধিকাংশই সরকারি কর্মকর্তা। ঢাকা শহরের কোলাহলযুক্ত পরিবেশ থেকে একটু নিরিবিলি কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বাস করার মানসে এ আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ এলাকাটি গড়ে ওঠে। এলাকার দক্ষিণ পাশে বংশাই নদী এবং উত্তর পাশে রয়েছে এককালে স্রোতস্বিনী বড় খাল। যা সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে মৃত, সরু ও লুপ্ত খালে পরিণত হয়েছে। খালের বিপরীত পাশে গড়ে উঠেছে ‘দোয়েলসহ' বিখ্যাত কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত বর্জ্য সরুখালে পতিত হয় এবং স্রোতের অভাবে বর্জগুলো মাসের পরে মাস জমে থেকে ভয়াবহ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এককালে এখানে প্রচুর মাছ মিললেও বর্তমানে তা একেবারেই লুপ্ত। উপরন্তু কারখানা নিঃসৃত দুর্গন্ধ বর্জ্যের জন্য ব্যাংক টাউনের অধিবাসীদের বাস করা একেবারেই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে ইতোমধ্যেই এলাকার অধিবাসীদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। যক্ষ্মা, হাঁপানি, সর্দি, জ্বর, এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক অসুখে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে শিল্প-কল-কারখানার কর্তৃপক্ষ বরাবরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি। অথচ এহেন অবস্থায় এমনি অস্বাস্থ্যকর দূষিত পরিবেশ মানুষ বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অতএব, বিষয়টির জন্য যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জনজীবনের জন্য হুমকীস্বরূপ এ দূষণের হাত থেকে আমাদের বাঁচানোর কেউ নেই কি?
নিবেদক
নেছার উদ্দীন (নাসির বিশ্বাস)।