বাংলা রচনা : বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা

বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা

বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা আজ যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তিরূপে গণ্য হয়ে থাকে। আর ঠিক একারণেই পৃথিবীর সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা আজ একান্ত গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে ।

বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য একদিকে যেমন প্রকৃতির নানা রহস্য উন্মোচন, তেমনি এই লব্ধ জ্ঞানকে সমগ্র জনসমাজের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে কাজে লাগানো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে আমরা যেমন সাধারণভাবে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে দুনিয়ার অন্যান্য অগ্রসর দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি তেমনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা বা এক্ষেত্রে কোনো শক্তিশালী ঐতিহ্যও আমরা আজো সৃষ্টি করতে পারি নি । এ পরিস্থিতি দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে এক বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

বর্তমান পরিস্থিতির একটি প্রধান কারণ হলো এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য। ঔপনিবেশিক শাসকরা মূলত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে একটি শিক্ষিত শ্রেণি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন— আর সেজন্য সাধারণ মানবিক শিক্ষাই যথেষ্ট ছিল । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন সত্তা নিয়ে আবির্ভূত হলো এক দুর্বল অর্থনৈতিক ভিতের ওপর, আর সে সময়ে মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্ত এদেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দেখা দিল অতি অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র জনগণের জীবনে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করা । এ পরিস্থিতিতে দেশের কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, নির্মাণ, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, পরিবহন প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন হয়ে উঠল অতি জরুরি ।

দেশের দ্রুত উন্নয়নের এ দাবি শিক্ষাক্ষেত্রে তার ছাপ ফেলতে বাধ্য । শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হলে সে দুর্বলতা প্রতিফলিত হয় অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে। তাই কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের ব্যাপক আয়োজন ছাড়া আর কোন উন্নয়ন সার্থক হওয়া সম্ভব নয়। এদেশের আগামী দিনের নাগরিক ও স্রষ্টা যে তরুণ সমাজ তাদের মধ্যে যথাযথ উন্নয়নমুখী মনোভঙ্গি গড়ে তোলা এবং দেশের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান : পঞ্চাশের দশকের আগে পর্যন্ত আমাদের দেশে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ‘প্রকৃতি পাঠ' নামে বিজ্ঞানের কিছু প্রাথমিক জ্ঞান দান করা হতো। ১৯৫১ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে সাধারণ বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত হয়, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতেও পাঠ্য হলো বিজ্ঞানের কিছু প্রাথমিক ধারণা। এছাড়া অতি অল্প কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে মৌলিক বিজ্ঞান পাঠের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় । এই ব্যবস্থা চলল এক দশক ধরে। এ পর্যায়ে বিদ্যালয়ের শেষ পরীক্ষায় বিজ্ঞান অবশ্য পাঠ্য ছিল না বলে আগের শ্রেণিগুলোতে বিজ্ঞান একেবারেই নামে মাত্র পড়ানো হতো । ১৯৬১ সালে যে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলো তাতে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন ঘটল। এই শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতে সাধারণ বিজ্ঞান অবশ্য পাঠ্য বিষয় হিসেবে স্থান পেল ।

শিক্ষাক্রমের উন্নয়ন : বিজ্ঞানচর্চার মূল কথাই হলো অনুসন্ধান ও পরীক্ষণ। কাজেই বিদ্যালয়ে অনুসন্ধানমূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা না থাকলে বিজ্ঞান শিক্ষা সার্থক হওয়া শক্ত। এছাড়া শিক্ষালাভ শুধু বিদ্যালয়ের চার দেয়ালের মধ্যে ঘটে না; বিদ্যালয়ের বাইরের বাস্তব জীবনের নানা শিক্ষা-সহায়ক উপকরণ বিজ্ঞান শিক্ষার কাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এদেশে গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের আগে পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগ তেমন দেখা দেয় নি ।

ইতোমধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সকল স্তরেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তেমনি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কে শেখার আগ্রহ ও কৌতূহল। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে পাঠ্যসূচি থেকেছে অপরিবর্তিত। ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশন (ড. কুদরত-এ-খুদা কমিশন নামে পরিচিত।) তাই বলল, “বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নতির ফলে আমাদের অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক সেকেলে হয়ে পড়েছে। আমাদের বিজ্ঞানের কোর্সে নতুন ভাবধারা প্রবর্তন অত্যাবশ্যক। মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব স্তরে বিজ্ঞান সিলেবাসকে বিশেষভাবে উন্নীত করতে হবে যাতে অল্পকালের মধ্যেই পৃথিবীর উন্নত দেশের মানের সমকক্ষতা অর্জন করা যায়।” শিক্ষা কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে একটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি কমিটি নিয়োগ করা হয়। নতুন পাঠ্যসূচি ১৯৭৮ সালে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে, ১৯৭৯ সালে চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণিতে, ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সালে যথাক্রমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে এবং ১৯৮৩ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে চালু করা হয়। এই নতুন শিক্ষাক্রমের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখে অর্থপূর্ণভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার পুনর্বিন্যাস এবং তা আরো ব্যাপক সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের কাছে লভ্য করে তোলা । বিজ্ঞান শিক্ষার লক্ষ্য ও তার বাস্তবায়ন : জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে :

১ . নানা প্রাকৃতিক ঘটনা এবং চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আগ্রহ ও কৌতূহল সৃষ্টি;
২. চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে পর্যবেক্ষণের দক্ষতা গড়ে তোলা;
৩. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণের দক্ষতা অর্জন;
৪. যুক্তিবাদী চিন্তাপদ্ধতি গড়ে তোলা;
৫. পরিবেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজেদের ও অন্যদের জীবনমানের উন্নয়নে সহায়তা দান; 
৬. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলা; 
৭. বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে উৎপাদনের সম্পর্ক স্থাপন;
৮. কিছুটা বৃত্তিমূলক দক্ষতা সৃষ্টি যাতে বিদ্যালয় ত্যাগ করে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কোনো উৎপাদনমূলক পেশা বেছে নিতে পারে; 
৯. শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের জন্য বাঞ্ছিত মূল্যবোধ গড়ে তোলা ।

শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষক-প্রশিক্ষণ : আমাদের দেশে শিক্ষার প্রধান উপকরণ হলো পাঠ্যপুস্তক। নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতির এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞানের যে সব নতুন পাঠ্যবই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—

১. প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব দান, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য স্থানীয় উপকরণের উপর নির্ভরতা;
২. মেধাবী বা আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু অতিরিক্ত বিষয়বস্তু সংযোগ;
৩. প্রচুর অনুশীলনীর সমাবেশ— যাতে তত্ত্বগত ও সমস্যা সমাধানমূলক— উভয় ধরনের প্রশ্ন থাকে;
৪. পারিভাষিক শব্দ সীমিত করা।

এই প্রেক্ষিতে আশির দশকের শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং শিক্ষক-প্রশিক্ষণের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে থাকে। ১৯৮৫ সাল থেকে বিজ্ঞান শিক্ষার উপর গুরুত্বসহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৩,৮০০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও ২০০ মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষা উন্নয়নের জন্য শ্রেণিকক্ষ-পরীক্ষাগার নির্মাণ, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, শিক্ষা উপকরণ ও বইপত্র প্রদানেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষকদের জন্য ব্যাপক আকারে কর্মকালীন সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। গত চার বছর প্রায় দশ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এরকম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে দেশের ৯টি শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কলেজে যে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান উন্নয়ন কেন্দ্র' গড়ে তোলা হচ্ছে তার মাধ্যমে আগামীতে ব্যাপক আকারে কর্মকালীন শিক্ষক-প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা সহায়তা দেবার ব্যবস্থা গৃহীত হবে।

উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে বিজ্ঞান : উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরেও সাম্প্রতিকালে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। বিগত দু' দশকে দেশে ডিগ্রি স্তরে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। এবং বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় চল্লিশ শতাংশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু গুণগত দিক থেকে ডিগ্রি স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষার সমস্যা অনেকটা আগেই মতোই রয়ে গেছে অর্থাৎ শিক্ষাক্রম সেকেলে ও অনুপযোগী, পাঠদান পদ্ধতি দুর্বল, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণের অভাব প্রকট। উচ্চশিক্ষাস্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা পদ্ধতির এ ধরনের দুর্বলতা স্বভাবতই বিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাদানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে । ১৯৭৫ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি কমিটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য নতুন পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়ন করা হয় নি। ডিগ্রি স্তরের জন্য বাংলা একাডেমী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কিছু কিছু নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরিমাণ ও গুণগত মান সাধারণভাবে তেমন সন্তোষজনক নয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি প্রধান দায়িত্ব হলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি। কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও বিজ্ঞান গবেষণার জন্য এমন কোনো সুযোগ এখনও হয় নি।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা'— অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ' বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ডিগ্রি স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা পরিস্থিতি সম্পর্কে এই সেমিনারের সুপারিশমালায় বলা হয়, “শিক্ষাক্রম উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলা । পরীক্ষার প্রশ্নগুলো এমন হওয়া প্রয়োজন যেন শিক্ষার্থীরা প্রদত্ত উত্তরে শুধু মুখস্থ করার ক্ষমতা নয়, সমস্যার প্রকৃতি উপলব্ধিরও প্রতিফলন ঘটে। বিজ্ঞান শিক্ষা এমনভাবে পরিকল্পিত এবং পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বাস্তব জীবনের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে।” ডিগ্রি স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে শুধু যে বিষয়বস্তু আধুনিকীকরণ প্রয়োজন তা নয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে হবে অনুসন্ধান ও গবেষণার প্রবণতা, সমস্যা সমাধানের প্রবণতা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধানের প্রেরণা ।

সকলের জন্য বিজ্ঞান : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে শুধু গুটিকতক বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি করাই · যথেষ্ট নয়- বিজ্ঞানের জ্ঞান ও চেতনা ব্যাপকভাবে সঞ্চারিত হতে হবে সমগ্র জনসমাজের মধ্যে।

আর সর্বোপরি দেশময় বৈজ্ঞানিক চেতনা ও কর্মোদ্যোগ সঞ্চারকে জাতীয় অগ্রাধিকার দিয়ে তাকে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত করতে হবে। আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ আমাদের জন্য খোলা নেই ৷
ড. আবদুল্লাহ আল মুতী
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url