তোমার অঞ্চলের কোন খাল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ
তোমার অঞ্চলের কোন খাল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক ইনকিলাব,
২/১ আর. কে. মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।
জনাব,
আপনার সম্পাদনায় প্রকাশিত বহুল প্রচারিত পত্রিকা 'দৈনিক ইনকিলাব' পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট নিম্নোক্ত বিষয়টি প্রকাশ করে বাধিত করবেন বলে আশা করি।
সম্পাদক,
দৈনিক ইনকিলাব,
২/১ আর. কে. মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।
জনাব,
আপনার সম্পাদনায় প্রকাশিত বহুল প্রচারিত পত্রিকা 'দৈনিক ইনকিলাব' পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট নিম্নোক্ত বিষয়টি প্রকাশ করে বাধিত করবেন বলে আশা করি।
বিনীত
জয়নাল আবেদীন
৩৩/বি-২, সড়ক-১, ব্লক-বি
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯।
তারিখ : ০৯/০৬/২০২৪
শ্রীনগর-লৌহজং খাল পদ্মার সাথে পুনঃসংযোগ জরুরি
বিক্রমপুরের চারদিকে নদী। দক্ষিণে বিখ্যাত পদ্মা, উত্তরে ধলেশ্বরী ও মেঘনা। ধলেশ্বরী ও পদ্মার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী দু'টি প্রধান খালের একটি ‘লৌহজং শ্রীনগর-সৈয়দপুর খাল'। শ্রীনগরের ভাগ্যকুল কুন্তু রাজা জীনকীনাথ রায় ২০১৩ সালে নিজ অর্থব্যয়ে জনস্বার্থে খনন করেন এ খালটি। এখালের মাধ্যমে নৌ-যোগাযোগ যেমন সহজসাধ্য ছিল তেমনি লোকজনের গোসল, গৃহস্থালিল কাজকর্ম ও গবাদিপশুর গোসলের কাজে এ খালের পানি ব্যবহৃত হতো। ষাটের দশকে উন্নত চাষাবাদের গোড়াপত্তন হলে এখালের পানি থেকেই পাম্পযোগে সেচের কাজ শুরু হয়। এখালের মাধ্যমে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল ও কুষ্টিয়ার মালবাহী নৌকা ঢাকা- নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন বন্দরে যাতায়াত করতো। এখাল দিয়েই যাত্রী পরিবহনকারী গয়না নৌকা ও মোটর লঞ্চ চলাচল করতো । বর্ষার ঢালের পানি এখাল দিয়েই পদ্মায় পতিত হয়ে বিক্রয়পুরকে আশ্বিন-কার্তিক মাসে বর্ষামুক্ত করতো। প্রচুর মাছও পাওয়া যেত এখানে। এখন যারা হলদিয়া কনকসার ভ্রমণ করেন তারা বিস্মিত হবেন খালের অস্তিত্ব না দেখে। ২০১৪ সালের দিকে কোন এক বর্ষায় খালের পদ্মার মুখে কিছু বালি ও পলি জমা হয়। পরের বছর তা আরো উঁচু হয়।
এসময়ে যদি এবালি ও পলি খনন করে খালের পানিপ্রবাহ পদ্মার সাথে চালু করা হতো তাহলে খারের অস্তিত্ব কোনভাবেই বিপন্ন হতোনা। পরবর্তী বর্ষাগুলোয় পলি জমতে জমতে খালের দক্ষিণ অংশ থেকে উত্তরাংশ ভরাট হতে থাকে। বর্তমানে শ্রীনগর-মাশুরগাঁও ব্রিজের দক্ষিণ অংশ পর্যন্ত খাল ভরাট হওয়ার উপক্রম। এখালের প্রবাহ পদ্মার সাথে বন্ধ হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে লৌহজং- টঙ্গীবাড়ী থানার নদীভাঙন প্রবল হয়েছে। খালের পানি পদ্মায় নামতে না পারার কারণে লৌহজং শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে বর্ষায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সম্পদহানি ঘটায়। খাল শুকিয়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের আয় কমে যায়। শীত মৌসুমে জমিতে পানি সেচ বিঘ্নিত হয়। গভীর-অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এঅবস্থার অবসান ঘটিয়ে খালটিকে সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা, জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তথা সর্বস্তরের জনগণের সহাযতা কামনা করি ।