মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ভাষণ রচনা কর
মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে একটি ভাষণ তৈরী কর।
মাননীয় সভাপতি ও সুধীমণ্ডলী,
সকলকে সালাম ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আজকে আমরা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে সমবেত হয়েছি। যে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে, আর তা হচ্ছে মাদকাসক্তি। মাদকাসক্তি, আজ আমাদের সমাজজীবনে একটি মারাত্মক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে উদীয়মান তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে সেসব বিপথগামী যুবক নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। তাই মাদকাসক্তির ভয়াবহ ছোবল থেকে যুবসমাজকে বাঁচানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
মাদক এমনি এক ক্ষতিকর জিনিস, যা সকল দিক থেকে শুধু ক্ষতিই করে। এর একটি দিকও নেই যা মানবের কল্যাণ করে। মানুষ যখন মাদকাসক্ত হয় তখন সে সমাজের অন্যান্য মানুষের মত স্বাভাবিক আচরণ করে না। তার মধ্যে একটি অসুস্থতার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সে স্বাভারিক জীবন যাপন করতে পারে না, পরিবারের কাছে সে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মাদক গ্রহণ করার জন্য টাকার প্রয়োজন, সে টাকা সংগ্রহের জন্য তাকে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মে জড়িত হতে হয়। শুধু তাই নয় মাদকাসক্তির কারণে ক্যান্সারের মত ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হয়। যার পরিণতি মৃত্যু। একটি দেশের তরুণ সমাজের একটি বিরাট অংশ যদি মাদকাসক্ত হয় তবে সেদেশ ক্রমান্বয়ে অধঃপাতে যায়। সে দেশের জনশক্তি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। সকল উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। সে জাতির নিজস্ব শক্তি ক্রমেই লোপ পায় এক সময় তাদের স্বাধীনতাও হুমকীর সম্মুখীন হয়। মাদকাসক্তির কারণে মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়। দেশ, জাতি ও সমাজে দুর্নীতি ও অনাচার দানা বেঁধে ওঠে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় মাদকাসক্তিকে রুখতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি মাদককে ঘৃণা করতে হবে, বর্জন করতে হবে। তবেই দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সকলকে আবারও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি বিদায় নিচ্ছি।
খোদা হাফেজ।