বাংলা রচনা : বাংলাদেশের যানজট সমস্যা ও তার প্রতিকার
বাংলাদেশের যানজট সমস্যা ও তার প্রতিকার
[সংকেত : ভূমিকা; বাংলাদেশে যানজটের স্বরূপ; যানজট সৃষ্টির কারণ; যানজটের দিক থেকে ঢাকা; যানজটের ফল; যানজট নিরসনের উপায়; সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ; উপসংহার।]
ভূমিকা : আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে ছন্দ মিলিয়ে চলতে হলে যেকোনো দেশকেই তার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। কেননা, সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থা যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যানজট অন্যতম সমস্যা। শুধু মহানগরীগুলোতেই নয়, ছোটো-বড়ো শহরগুলোতেও যানজট প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে যানজটের স্বরূপ : আজকাল যানজট রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরগুলোতে একটি নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এটি শহরবাসীর জীবনধারাকে ক্রমশ জটিল করে তুলেছে । তবে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাবাসীর কাছে যানজট একটি দুর্বিষহ ঘটনা। প্রতিদিন ঘর থেকে বেরোলেই শহরবাসী যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে। রাস্তাঘাটে গাড়ির বিশৃঙ্খল ও এলোপাতাড়ি চলাচল যানজট সৃষ্টি করে । ফলে, চাকরিজীবীরা সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারে না; শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাসে যেতে পারে না। এমনকি যানজটে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের শয্যাশায়ী রোগী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না বলে অনেকেই রাস্তায় মারা যায় । অন্যদিকে, যানজটে থেমে থাকা যানবাহনগুলো মূল্যবান জ্বালানি পোড়ায় । অনেকসময় বিভিন্ন প্রকার ফলমূল, সবজি ও পচনশীল পণ্য দীর্ঘসময় বস্তাবন্দি থাকায় বাজারে পৌঁছার আগেই বিনষ্ট হয়ে যায় । ফলে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টাকার ক্ষতি হয় ।
যানজট সৃষ্টির কারণ : স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর বাংলাদেশের সড়কপথের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল । ২০০১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০,৮৫৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে । এর মধ্যে ৩,১৪৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ১,৭৪৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১৫,৯৬৪ কিলোমিটার প্রথম শ্রেণির সংযোগ সড়ক । অপরদিকে, এদেশে শুধু মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ২৩ লক্ষ । রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি, অটোরিকশা ইত্যাদি অগণিত। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশের তুলনায় এগুলো প্রায় ৩০ গুণ বেশি। এ হিসাবে বাংলাদেশের সড়কপথে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে যানজট সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক । যাটজট সৃষ্টির কিছু কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
(i) অতিরিক্ত জনসংখ্যা : বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় এর হার কয়েকগুণ বেশি। অথচ রাস্তাঘাট প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। তাছাড়া, রাস্তাগুলো অনেক সংকীর্ণ হওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয় ।
(ii) অতিরিক্ত যানবাহন : জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যাও বিপুলহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মানুষ চলাচল ও যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
(iii) সংকীর্ণ ও অনুন্নত রাস্তাঘাট : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড়ো বড়ো শহরে কোনো ধরনের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই দালানকোঠা গড়ে উঠছে । রাস্তা নির্মাণেও পরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয় । এজন্য অধিকাংশ রাস্তাই সংকীর্ণ ও এবড়োথেবড়ো। ফলে যানবাহনগুলো সুনির্দিষ্ট গতিতে চলাচল করতে পারে না । ফলে যানজট সৃষ্টি হয় ।
(iv) ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা : বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেক ত্রুটিপূর্ণ । মান্ধাতা আমলের ট্রাফিক ব্যবস্থা এখানে এখনও প্রচলিত । অসংখ্য ট্রাফিক সিগন্যালে বাতি পর্যন্ত জ্বলে না । অপরদিকে, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা ও দুর্নীতির কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থার এ দশা । ফলে ট্রাফিক জ্যাম বা যানজট দিনদিন বেড়েই চলছে ।
(v) রাস্তার উপর বিভিন্ন দোকান ও বাজার স্থাপন : দেশের প্রায় সবখানেই দেখা যায়, হাইওয়ে বা অন্যান্য রাস্তার উপর বিভিন্ন বাজার ও দোকানপাট গড়ে উঠছে । ফলে লোকজনের চলাচলের তেমন কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় হাঁটে । আবার, শহরগুলোতে দেখা যায় রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলো বিভিন্ন হকারদের দখলে। এজন্য লোকজনের রাস্তা দিয়ে না হেঁটে উপায় থাকে না। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।
(vi) অদক্ষ চালক : বাংলাদেশের গাড়ি চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান নেই। তাছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য অধিকাংশ চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স কোনোটিই নেই। ফলে তাদের অজ্ঞতা ও অদক্ষতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
(vii) সবরকম যানবাহনের একসঙ্গে চলাচল : আমাদের দেশে রাস্তাঘাটে একসঙ্গে বিভিন্নরকম যানবাহন চলাচল করে । এগুলোর কোনোটা বড়ো, কোনোটা ছোটো । আবার কোনোটা যন্ত্রচালিত, কোনোটা মনুষ্যচালিত । এদের গতিবেগও ভিন্ন ভিন্ন। বিভিন্ন গতিবেগসম্পন্ন গাড়ি রাস্তায় সমানতালে চলা অসম্ভব । বাস-ট্রাক, কারসহ অন্যান্য যান্ত্রিক যানের সাথে মনুষ্যচালিত রিকশা রাস্তায় চলে। ধীরগতির রিকশার এলোপাতাড়ি চলাচলে রাস্তার যন্ত্রচালিত যানবাহনকে আটকা পড়তে হয়। এর ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।
(viii) চালকদের মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা : প্রত্যেক গাড়ির চালক একজন আরেকজনের আগে যাওয়ার জন্য খুব দ্রুতগতিতে গাড়ি চালায়। এর ফলে গাড়িগুলো বিশৃঙ্খলভাবে চলতে শুরু করে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়।
(ix) পার্কিং-এর অসুবিধা : মহানগরী ঢাকায় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। অথচ অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই রাস্তার আশপাশে চালকরা এসব গাড়ি পার্কিং করে রাখে । এতে প্রায় অর্ধেক রাস্তা বন্ধ থাকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
(x) বাইপাস রোড না থাকা : প্রত্যেকটি বড়ো বড়ো শহরের উপর দিয়ে সব বাস-ট্রাক চলাচল করে । এতে শহরের চাপ বাড়ে । কেননা, সেখানে কোনো বাইপাস রোড থাকে না । এর কারণে যানজট আরও দ্বিগুণ হারে বাড়ে । দেশের বড়ো শহরগুলোতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বন্যার বেগে ছুটে আসা মানুষ আর যানবাহনের ভিড়ে ‘তিল ঠাঁই আর নাহিরে' অবস্থা। অপরিকল্পিতভাবে ওয়াসা, ডেসা, গ্যাস, টেলিফোন প্রভৃতি কর্তৃপক্ষ তাদের প্রয়োজনে এক রাস্তা একাধিকবার খোঁড়াখুড়ি করছে । ওয়ার্কশপ, গ্যারেজ, ফেরিওয়ালা, পালিশওয়ালা, তরকারিওয়ালা, মাছওয়ালা রাস্তাকে নিজ বাড়িঘরের মতো ব্যবহার করছে । এছাড়া যানজটের জন্য সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবসহ আরও নানাবিধ কারণও রয়েছে।
যানজটের দিক থেকে ঢাকা : আমরা যদি শুধু ঢাকা শহরের যানজট সমস্যার চিত্রটি লক্ষ করি তাহলে সমগ্র দেশের অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারি। ঢাকার আয়তন প্রায় ১৪৬৩.৬০ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু লোকসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ২৫ শতাংশ ফুটপাথ থাকার কথা কিন্তু এখন তার অধিকাংশই অবৈধ দখলে আছে। যেটুকু পথ আছে তাতে বারো মাস খোঁড়াখুঁড়ি চলে। কলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফেরিওয়ালার দখলে রাস্তার সিংহভাগ, ফলে যানজট লেগেই আছে। অফিস বা অন্য কোনো কারণে ঘর থেকে কেউ বেরোলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবে কি না তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না।
যানজটের ফল : যানজটের ফল খুবই ভয়াবহ। যানজট নানাভাবে একটি দেশ ও জাতির ওপর তার কু-প্রভাব ফেলে । যানজটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি । যানজটের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থায় যে বিঘ্ন ঘটে তাতে লক্ষ লক্ষ টাকার মালমাল নষ্ট হয়ে যায় । সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয় কাঁচামাল। যানজটের কারণে সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে মালামাল পৌঁছতে পারে না বিধায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় এবং এতে করে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয় । এছাড়া মুমূর্ষু রোগীসহ আরও শত শত মানুষের বিভিন্ন রকম অসুবিধা ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে যানজটের জন্য।
যানজট নিরসনের উপায় : বাংলাদেশের যানজট নিরসনে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে। সরকার ও জনগণের সদিচ্ছা থাকলে অসুবিধাগুলো দূর করে সুষ্ঠু জীবনযাত্রা নির্বাহ করা যায়।
(i) ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি : বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের। তাই উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাকেও আধুনিকীকরণ করতে হবে । অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হবে । ট্রাফিক আইন প্রয়োগে কড়া নজর রাখতে হবে । প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে । পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে । এছাড়া, ট্রাফিক পুলিশদের দুর্নীতি এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ii) রাস্তা সংস্কার ও বাইপাস নির্মাণ : যানজট কমাতে হলে সংকীর্ণ রাস্তাগুলো সংস্কার করে প্রশস্ত করতে হবে । বড়ো বড়ো শহরে আরও বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাথ উন্মুক্ত রাখতে হবে।
(iii) রিকশা নিয়ন্ত্রণ : প্রধান প্রধান ব্যস্ততম সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে বা কমাতে হবে। শহর এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক রিকশা রেখে অবশিষ্ট রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
(iv) চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান : আমাদের দেশের যানবাহন চালকদের মধ্যে অধিকাংশেরই কোনো অক্ষরজ্ঞান থাকে না । এমনকি এদের অনেকেই আবার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে না। অনেকক্ষেত্রে তারা অবৈধ লাইসেন্স গ্রহণ করে । তাই তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সচেতন করতে পারলে যানজট অনেকাংশে কমানো সম্ভব। মূলত যানজট সমস্যার বিষয়টি যতই জটিল সমস্যা হোক না কেন, সকলের সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা ও নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসন করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। কঠিন হচ্ছে— আন্তরিকতার সঙ্গে সকলকে এ সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা। তবে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থরক্ষার সংকল্প নিয়ে সকলে এগিয়ে এলে যানজট নিরসন সম্ভব।
সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ : দেশে যানজট সমস্যা নিরসনে সরকার ইতোমধ্যেই কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আর এ ব্যাপারে সরকার মহানগরী ঢাকাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন, পরিবেশের উন্নয়ন এবং জনজীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৫টি ফ্লাইওভার, অনেকগুলো আন্ডারপাস, স্থানে স্থানে পর্যাপ্ত ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৬০ কিমি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উন্নয়ন, ৩টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পুনর্বাসন, ৪০ কি.মি. ফুটপাথ নির্মাণ এবং নন-মটরাইজড যানবাহন চলাচলের নেটওয়ার্কসহ ২০টি সড়কের সংযোগস্থলে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয় । ৩০টি বহুমুখী রাস্তার সংযোগ মোড়ের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন তথা আধুনিকায়ন করা হয়। নগরীর যানজট সমস্যা নিরসনে অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও পর্যায়ক্রমে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে, সরকার নগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে অযান্ত্রিক যানবাহনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। কিছু রাস্তাকে করেছেন ওয়ান ওয়ে (একদিকে চলাচল)।
উপসংহার : যানজট সমস্যা আমাদের প্রাত্যহিক চলাচল ও জীবনযাপনের ক্ষেত্রে একটা বিড়ম্বনাস্বরূপ। এই সমস্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধির কারণে সরকার থেকে শুরু করে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই খুব চিন্তাক্লিষ্ট। যত তাড়াতাড়ি যানজট সমস্যা সমাধান করা যায়, জাতির জন্য ততই মঙ্গল।