অনুচ্ছেদ রচনা : পাট

পাট

পাট

পাট এক প্রকার সরু কাণ্ডবিশিষ্ট উদ্ভিদ। এটি সাধারণত ছয় থেকে দশ ফুট উঁচু হয়। বীজ বােনার পর এটা দণ্ডের মত ওপরের দিকে বাড়ে। এর শাখা-প্রশাখা নেই বললেই চলে। গাছের ওপরের অংশে কিছু সবুজ পাতা থাকে। মাথার | দিকে কয়েকটি ছােট ছােট ডালের মত দেখায়। মৌসুমী অঞ্চলের উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু পাট চাষের পক্ষে বিশেষ উপযােগী। প্রচুর বৃষ্টিপাত পাট চাষের সহায়ক। জমি উত্তমরুপে কর্ষণ করে বীজ বপন করতে হয়। চারা গজাবার পর নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা তুলে ফেলতে হয়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে পাট গাছগুলাে কেটে পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এ অবস্থায় পাট গাছ পচে যায়। তারপর গাছ থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নিয়ে পানিতে ধুয়ে রােদে শুকাতে হয়। শুকিয়ে গেলে আঁশগুলাের গাঁট বাঁধা হয় এবং বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়। পাট দিয়ে চট বস্তা, ব্যাগ, দড়ি, সুতা, কাপড় তৈরি করা হয়। দরিদ্র লােকেরা পাট খড়ি দিয়ে ঘরের বেড়া তৈরি করে। বাংলাদেশে পৃথিবীর প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি পাট। বিভিন্ন পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পাট উৎপাদনে চাষী ও সরকার উভয়েরই যত্নবান হওয়া উচিত। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url