যৌতুক প্রথা নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে একটি সংলাপ তৈরি কর
পারুল ও সুলতানা দুই বান্ধবী। তাদের মধ্যে যৌতুক প্রথা নিয়ে একটি সংলাপ তৈরি কর।
পারুল : শুনেছ সুলতানা, নাসিমাকে নাকি স্বামীর বাড়িতে নিচ্ছে না।
সুলতানা : নিচ্ছে না মানে কী?
পারুল : মনে হলাে শ্বশুরবাড়িতে নাসিমার প্রবেশের অধিকার নেই। সে বাবার বাড়িতেই থাকবে।
সুলতানা : কেন?
পারুল : বিয়ের সময় নাসিমার শ্বশুরবাড়ির লােকজন বরের জন্য একটি মােটরসাইকেল দাবি করেছিল। নাসিমার পরিবার রাজি হয়েছিল এবং পরে দেবে বলে কথা দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর দিতে পারেনি।
সুলতানা : নাসিমার এ অবস্থার জন্য ওর বাবাই দায়ী। ছেলে সরকারি চাকরি করে বলে ওর বাবা তাড়াহুড়া করে কিছু না ভেবেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। এখন দেখ কী বিড়ম্বনা!
পারুল : হ্যাঁ, চাচা নাসিমার পড়াটাও বন্ধ করে দিলেন ।
সুলতানা : অভিভাবকরা মেয়ের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চান।
পারুল : নিশ্চিন্ত তাে হতে পারলেন না। বরং দুশ্চিন্তার বােঝা আরও বাড়ালেন।
সুলতানা : আমার মনে হয় কী জান ? মেয়েরা যদি তাদের মেধা ও যােগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারে, তারা যদি আত্মশক্তিতে। বলীয়ান হয়, তবে কেউ মেয়েদের অবজ্ঞা করার সুযােগ পাবে না। বিয়েতে বরপক্ষের যৌতুক দাবি করা মানুষ। হিসেবে মেয়েদের ছােটো করারই নামান্তর।
পারুল : আমিও তাই মনে করি। এজন্য মেয়েদের পরিবারকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। তারা তাদের ছেলে সন্তানের লেখাপড়া ও চাকরির ব্যাপারে যতটা সজাগ, মেয়ের ব্যাপারেও অনুরূপ সজাগ থাকতে হবে।
সুলতানা : আর ছেলেদের পরিবারকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে আমরা ছেলের বিয়েতে যৌতক নেব না।
পারুল : সামাজিক সচেতনতা তৈরি হলে এবং আইনের কঠোর বাস্তবায়ন থাকলে এ ভয়াবহ ব্যাধি নির্মল হবে।