ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
তপন : এই যে শৌখিন, কেমন আছ?
শৌখিন : ভালাে, তুমি কেমন আছ?
তপন : ভালাে। আজকাল তােমার দেখাই পাওয়া যায় না। কোথায় থাকো বলত? তােমাকে দেখতে বেশ রােগা মনে হচ্ছে। শরীর খারাপ করেনি তাে?
শৌখিন : হ্যাঁ, শরীর একটু খারাপ। খুসখুসে কাশি।
তপন : কাশি তাে হবেই। যে হারে ধূমপান কর! ডাক্তার দেখিয়েছ?
শৌখিন : ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু কোনাে লাভ নেই। ডাক্তার বলেছেন ধূমপান ছাড়তে হবে।
তপন : ডাক্তার তাে ঠিকই বলেছেন বন্ধু। ধূমপান ছাড়ছ না কেন?
শৌখিন : ছাড়তে তাে চাচ্ছি, পারছি না তাে।
তপন : মানুষ চাইলে সব পারে শৌখিন। আর তুমি সিগারেট ছাড়তে পারছ না?
শৌখিন : ধূমপান ছাড়া পাঠেও মনােযােগ দিতে পারি না?
তপন : ধূমপান যে বিষপান তা কি তুমি জানাে না?
শৌখিন: বিষপান কেন?
তপন : এই যে তুমি কাশিতে ভুগছ, এটি শ্বাসতন্ত্রের একটি উপসর্গ। এছাড়া ক্যান্সার, হৃদরােগ ইত্যাদিও ধুমপানের। এ কারণে হয় এসব রােগের ভয়াবহ পরিণতি, চিকিৎসার ব্যয়ভার সম্পর্কে জানাে?
শৌখিন : না, জানি না।
তপন : একবার আমার সাথে ঢাকা মেডিকেলে বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে । তােমাকে হৃদরােগ বিভাগ বা ক্যান্সার বিভাগ ঘুরে দেখাব । ভিটেমাটি বিক্রি করে সর্বস্ব হারানাে লােকগুলাের কষ্ট নিজের চোখে দেখবে।
শৌখিন : তুমি এত রাগ করছ কেন বন্ধু?
তপন : আমার বন্ধুর এত বড়াে ক্ষতি হয়ে যাবে? আর আমি তাকিয়ে দেখব?
শৌখিন : ধূমপান যদি এতই ক্ষতিকর হয়ে থাকে, তবে আমি অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করব ।
তপন : ধন্যবাদ বন্ধু।
শৌখিন : তােমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।