অনুচ্ছেদ রচনা : প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ

প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ

প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ

একুশ শতক সর্বতােভাবে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগ। এ যুগে বিজ্ঞানের সর্বমুখী যে অগ্রাভিযান চলছে তার মূলে রয়েছে বিদ্যুতের অবদান। বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক জীবন বলতে গেলে অচল। কল-কারখানায়, কৃষিকাজে, চিকিৎসা কেন্দ্রে, অফিস-আদালতে, ঘরে-বাইরে সর্বত্র বিদ্যুৎ এখন অপরিহার্য।বহুতল ভবনে ওঠানামায় লিফট এবং পানীয় জল সরবরাহ বিদ্যুৎ ছাড়া চলে না। গৃহস্থালি কাজে হিটার, কুকার, ফ্রিজ চালাতে দরকার পড়ে বিদ্যুতের। বিনােদনের জন্য রেডিও, টিভি, ক্যাসেটপ্লেয়ার চালাতে বিদ্যুতের দরকার। বিদ্যুৎ ছাড়া কম্পিউটার অচল। বাতি জ্বালাতে কিংবা পাখা চালাতেও বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুতের সাহায্যে নিখুঁতভাবে রােগ নিরূপণ সম্ভব হচ্ছে। ইলেকট্রো থেরাপি নামে একটি শাখাও রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে। বিদ্যুৎ পৃথিবীর দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের কল্যাণে রাতারাতি সংবাদপত্র মুদ্রিত হয়। টেলিফোন, মােবাইল ফোন, ইন্টারনেটের সাহায্যে মুহূর্তে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যােগাযােগ করা যায়, তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দিনদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। শিল্প বিকাশেও বিদ্যুতের ভূমিকা বিস্ময়কর। অথচ দেশে বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url