ব্যক্তিগত পত্র
চিঠিপত্র
বিভিন্ন প্রয়ােজনে মানুষকে চিঠিপত্র লিখতে হয়। ব্যক্তিগত সংবাদ জানাতে বা জানতে, প্রাতিষ্ঠানিক রীতি বা নিয়ম মান্য করতে, আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জ্ঞাপনে, ব্যবসায়িক যােগাযােগ স্থাপনের জন্য - এ রকম নানা কারণে পত্র লেখা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের চিঠিপত্রের নমুনা এই পরিচ্ছেদে দেখানাে হলাে।
ব্যক্তিগত পত্র
আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে লিখিত যােগাযােগের উপায় হিসেবে ব্যক্তিগত পত্রের জন্ম। ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগেও ব্যক্তিগত পত্রের কদর কমেনি, বরং ধরন বদলেছে। পূর্বে প্রধানত ডাক বিভাগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পত্রের আদান-প্রদান হতাে। বর্তমানে ডাকের পাশাপাশি ই-মেইল আকারেও ব্যক্তিগত পত্রের আদান-প্রদান হয়। ব্যক্তিগত পত্রে মানুষের শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তা, রুচি ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। সুলিখিত ব্যক্তিগত পত্র অনেক সময়ে উন্নত সাহিত্য হিসেবেও গণ্য হয়। যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছিন্নপত্র, রাশিয়ার চিঠি’, ‘জাপান-যাত্রী’ ইত্যাদি। ব্যক্তিগত চিঠি লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। পত্রের শুরুতে পত্ররচনার তারিখ ও স্থানের নাম উল্লেখ করতে হয়। যাকে চিঠি লেখা হচ্ছে, তার সঙ্গে পত্রলেখকের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে তাকে কীভাবে সম্বােধন করা হবে। সাধারণত গুরুজনকে শ্রদ্ধেয়, মাননীয় ইত্যাদি সম্বােধন করা হয়। বয়সে ছােটো কাউকে পত্র লিখলে স্নেহের, কল্যাণীয় ইত্যাদি সম্বােধন করা হয়। বন্ধু বা প্রিয়জনের ক্ষেত্রে প্রিয়, প্রীতিভাজনেষু দিয়ে সম্বােধন করা হয়ে থাকে। অপরিচিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে নাম বা পদবির আগে প্রিয় বা জনাব লিখে সম্বােধনের কাজ সারা যায়। পত্রের মূল বক্তব্যে যাবার আগে সৌজন্য প্রকাশক কথাবার্তা লেখা হয়ে থাকে। সহজ, সরল ও হৃদয়গ্রাহী করে লেখার উপরই চিঠির সার্থকতা নির্ভর করে। চিঠির পূর্বাপর বক্তব্যের সামঞ্জস্য, সংগতি ও ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হয়। পত্রের শেষে ‘ইতি’ লেখার একটি রেওয়াজ বাংলায় প্রচলিত আছে। এরপর সম্পর্ক অনুযায়ী বিদায় সম্ভাষণ লিখে চিঠির শেষে নাম লিখতে হয়। লিখিত চিঠিটি ডাকযােগে গেলে খামের উপরে নাম-ঠিকানা লিখতে হয়, ই-মেইল আকারে পাঠালে নির্দিষ্ট জায়গায় ইমেইল ঠিকানা ও চিঠির বিষয় লিখতে হয়। এখানে কয়েকটি ব্যক্তিগত পত্রের নমুনা উল্লেখ করা হলাে।