অনুচ্ছেদ রচনা : সত্যবাদিতা
সত্যবাদিতা
সত্যবাদিতা একটি মহৎ মানবিক গুণ। মিথ্যাকে পরিহার করে সত্যকে মনেপ্রাণে ধারণ করাই সত্যবাদিতা। সত্যবাদী মানুষ সর্বদা সত্যনিষ্ঠ থাকেন, জীবনের সবক্ষেত্রে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য ও সহনশীলতা ছাড়া সত্যবাদিতা অর্জিত হয় না। সমাজের অধিকাংশ মানুষ যেখানে স্বার্থপর ও মিথ্যাশ্রয়ী সেখানে একজন বা স্বল্পসংখ্যক সত্যবাদী ব্যক্তিকে নিরন্তর সাধনা করে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। এর জন্য প্রয়ােজন দৃঢ় সংকল্প ও আত্মবিশ্বাস। শৈশবে পারিবারিক জীবন থেকে সত্যবাদিতা গুণ অর্জনের সাধনা শুরু করতে হয়। পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বােনদের সাথে সত্য কথা বলার অভ্যাস গড়ে উঠলে ধীরে ধীরে তা বিকশিত হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজে তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকালে সহপাঠীদের সাথে সদাচরণ ও সত্যকথা বলার চর্চা অব্যাহত থাকলে মানুষ সহজেই সত্যবাদিতা গুণ অর্জন করতে পারে। যারা জীবনের প্রথম পর্যায়ে সত্যবাদী হয়ে ওঠে, পরবর্তী সময়ে সত্যকে সত্য বলতে তাদের দ্বিধা হয় না। তারা সারা জীবন সত্য ও সুন্দরের অনুসারী থাকেন। সত্যকে ভিত্তি করেই তারা সফল জীবনের সন্ধান করেন। সত্যবাদিতা ছাড়া মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হওয়া ' যায় না, সত্যবাদী না হলে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করে না। জগতে যারা মহাপুরুষ হিসেবে স্বীকৃত তাঁরা সকলেই ছিলেন সত্যবাদী। তাঁরা তাঁদের সত্যবাদিতার আলাে জ্বেলে জগৎ থেকে মিথ্যার অন্ধকার দূর করতে চেয়েছেন। পৃথিবীতে প্রচলিত প্রতিটি ধর্মেই সত্যবাদিতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রজীবনে সত্যবাদিতার চর্চা করা অত্যাবশ্যক। জীবন গঠনের এ পর্যায়ে সত্যবাদিতা অর্জিত হলে মহৎ মানবিক জীবনের পথে সহজেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। সত্যবাদিতা ছাড়া মানবিকতা অর্জন করা যায় না। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সত্যবাদী হওয়া, সত্যবাদিতা দ্বারা মানুষের হৃদয় জয় করা। তাহলেই আমরা আদর্শ জীবন ও সমাজ গড়তে সক্ষম হবে।
valo hoyeche
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম । আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন ।