বাংলা রচনা : সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই

সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই
সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই 

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস
অথবা, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস : পরিত্রাণের উপায়
অথবা, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই 

[ সংকেত : ভূমিকা; শিক্ষাঙ্গন; আমাদের বর্তমান শিক্ষাঙ্গন; সন্ত্রাসের স্বরূপ; শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের সূচনা; সত্রাসের করণ; | সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত উপকরণ; শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ক্ষতিকর প্রভাব; সন্ত্রাস নির্মূলের উপায়; উপসংহার। ]

ভূমিকা : প্রচণ্ড ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার নামই সন্ত্রাস। সাধারণত অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এরূপ ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নানা রকম আগ্নেয়াস্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। সেসব আগ্নেয়াস্ত্রই বর্তমানে ত্রাসের সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্র অনিয়ন্ত্রিত। এক শ্রেণির ছাত্র আজ চোরাই পথে সংগ্রহ করা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শিক্ষাঙ্গনে শক্তির মহড়ায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদের এই সন্ত্রাসে শিক্ষার মৌল উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। অনেক ছাত্রের সম্ভাবনাময় জীবন ইতােমধ্যে সন্ত্রাসের কারণে বিনষ্ট হয়ে গেছে। তাই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস আজ একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে । বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আশরাফ বলেন— 'Violence in the educational campus is a great threat of the peaceful educational environment.' 


শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষাঙ্গন বলতে আমরা শিক্ষাদানের জন্য তৈরি প্রতিষ্ঠানকেই বুঝে থাকি। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষাঙ্গন দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই একটি পবিত্র স্থান। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা যায় পড়াশুনার মাধ্যমে জ্ঞান লাভের জন্য। এখান থেকে জ্ঞান লাভ করেই আজকের তরুণ-তরুণীরা আগামী দিনে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে । তাই শিক্ষাঙ্গনের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর একান্ত কর্তব্য। কারণ শিক্ষাঙ্গনের সুস্থ পরিবেশ বজায় না থাকলে শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হতে বাধ্য। 


আমাদের বর্তমান শিক্ষাঙ্গন : বর্তমানে এক শ্রেণির ছাত্র নামধারী উদ্ধৃঙ্খল যুবক শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। অস্ত্রের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে নিজ নিজ দলের শক্তি প্রদর্শন করার এক অশুভ প্রতিযােগিতাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসের পথকে উন্মুক্ত করেছে।


সন্ত্রাসের স্বরূপ : ত্রাস বা ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিবেশ গড়ে তােলাই সন্ত্রাসীদের মুখ্য উদ্দেশ্য। তাতে তারা দুরকমে লাভবান হয়। প্রথমত, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির ফলে অন্য দল বা মতবাদীরা সংগঠিত হবার সুযােগ পায় না। দ্বিতীয়ত, নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব ফেলা সহজ হয়। মানুষ শক্তিকে যেমন ভয় করে তেমনি মান্যও করে । সেই ধারণার বশবর্তী হয়েই এক শ্রেণির ছাত্র বােমা, ককটেল, পিস্তল, রাইফেল, পাইপগান ইত্যাদি আগ্নেয়াস্ত্র যখন-তখন ব্যবহার করে সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনের পবিত্র পরিবেশ নষ্ট করে তুলছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তারা এসবের মাধ্যমে কেবল সন্ত্রাসই সৃষ্টি করছে না, অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ ছাত্রনেতা ও কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যাও করছে। শুধু তাই নয়, এরা সমস্ত মানবিক মূল্যবােধকে বিসর্জন দিয়ে শিক্ষকদের নীতিবােধের অপমৃত্যু ঘটানাের প্রয়াসেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। বর্তমান। শিক্ষাঙ্গনে যে সন্ত্রাসের জন্ম হয়েছে, তা অচিরেই রােধ করতে না পারলে জাতির জীবনে এক সর্বনাশা পরিণতি নেমে আসবে। 


শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের সূচনা : শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত আছে। ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন গড়ে তােলার জন্য আয়ােজিত সভায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। ১৯৭৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলে কয়েকজন ছাত্রনেতাকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হবার পরে নতন নতন রাজনীতিক দলের উদ্ভব হয় এবং এ দলগুলাে যে যার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য হানাহানিতে লিপ্ত হয়। এই হানাহানিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।



সম্রাসের কারণ : সরকার সমর্থক ছাত্র রাজনীতি আমাদের শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। ষাটের দশকে পি এনএসএফ নামক একটি ছাত্র সংগঠনের জন্ম দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে প্রথম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সূত্রপাত ঘটায় । তারপর একটি মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর মদদপুষ্ট হয়ে শিক্ষাঙ্গনে ত্রাস ছড়ায় এবং অনেক ছাত্র-শিক্ষক ও বদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। বর্তমানেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহা বিদ্যালয় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কাছে জিম্মি হয়ে আছে । তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এখ। সন্ত্রাসা নিয়মিতভাবে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত রয়েছে। আমাদের এই অননত দেশে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা অধিক। দারিদ্রপীড়িত এই অশিক্ষিত জনগণ রাজনীতিকভাবে মােটেই সচেতন নয়। এদেশের ছাত্রসমাজই বৃহত্তর জনগােষ্ঠীর সচেতন অংশ। তারা যেমন দেশপ্রেমিক তেমনি নানা মত ও আদর্শের অনুসারী । আগে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার উপায় ছিল আদর্শিক কাজকর্ম ও যুক্তিতর্ক। বর্তমানে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির কারণে তা যুক্তিতর্কের ধার ধারে না । এখন সবাই গায়ের জোরে নিজের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহী। ফলে রাজনীতির হঠকারী আচরণ ছাত্রসমাজকে প্রভাবিত করে তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিচ্ছে। যে কারণে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বিস্তারলাভ করছে। তারপর সন্ত্রাস আসে সামাজিক অবক্ষয় ও উগ্র চেতনার পথ ধরে । বর্তমানে আমাদের সমাজে ঘুস, দুনীতি, স্বজনপ্রীতি ও নীতিহীনতা যেভাবে শিকড় গেড়ে বসেছে, তার প্রভাবে তরুণ সমাজ প্রভাবিত হয়ে নানা রকম অন্যায় ও নীতি বর্জিত অসামাজিক কাজে জড়িত হয়ে পড়ছে। তারা নীতিগতভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সােচ্চার না হয়ে একদল অপর দলকে ঠেকাতে টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হচ্ছে এবং নিজেরাও অন্যের শিকারে পরিণত হচ্ছে। এভাবে সন্ত্রাসীরা শুধু শিক্ষাঙ্গন নয় সমস্ত সমাজকেই অস্থির করে তুলছে। 

সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত উপকরণ : বর্তমানে সন্ত্রাসী তৎপরতা নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এখন দেশের অলিতে-গলিতে অস্ত্রের ছড়াছড়ি। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের জন্যও এখন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমের পরিবর্তে উঠছে রিভলভার, পিস্তল, বন্দুক, কাটা রাইফেল, রামদা, হকিস্টিক, কিরিচ, চাইনিজ কুড়াল, ক্ষুর, ককটেল, বােমা ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র । এসব অস্ত্র প্রয়ােগ করে একজন ছাত্র কেড়ে নিচ্ছে অন্য একজন ছাত্রের প্রাণ। কেউবা হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে বরণ করছে পঙ্গুত্বকে। সন্ত্রাসী হামলায় যারা আহত বা নিহত হয়, তাদের অধিকাংশই নির্দোষ ও সাধারণ ছাত্র। ধীরে ধীরে ঘটছে ছাত্রদের নৈতিক অবক্ষয়। 

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ক্ষতিকর প্রভাব : শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ফলে মাসের পর মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। এতে শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না, বাড়ছে সেশনজট। এতে একদিকে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে জাতিও মেধাশূন্যতার দিকে এগােচ্ছে। বাবা-মা অনেক আশা নিয়ে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাঙ্গনে পাঠান, অসৎ সঙ্গে পড়ে এসব ছেলে-মেয়ে নিজেদের সােনালি ভবিষ্যৎকে ধূসর করে দিচ্ছে। অপচয় করছে বাবা-মায়ের কষ্টার্জিত অর্থ। এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা এ অন্যায় পথ কখনাে মাড়ায়নি, কিন্তু সন্ত্রাসের শিকার হওয়ায় সে আর মা-বাবার বুকে ফিরে যেতে পারেনি। আদরের সন্তানটিকে হারিয়ে গােটা পরিবার আজ নিঃস্ব। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে দেশের হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাের ভাবমূর্তি। সন্ত্রাসের এই করাল গ্রাস কারও জন্যই শুভ নয়, কাম্যও নয়। 

সন্ত্রাস নির্মূলের উপায় : সন্ত্রাস একটি দুরারােগ্য ব্যাধির মতাে জাতির মর্মমূলে কঠোর আঘাত হেনেছে। একে নির্মূল করতে না পারলে আমাদের সামাজিক জীবন একদিন বিপন্ন হয়ে উঠবে। তাই সন্ত্রাসকে জাতির জীবনে এক নম্বর সমস্যা, মারাত্মক অভিশাপ বলে গণ্য করে এর মূল উৎপাটনে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে হলে সুদূরপ্রসারী কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু শিশুর নৈতিক শিক্ষার ভিত রচিত হয় পরিবারে, তাই নৈতিক শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পরিবার থেকেই শিশুর মননে নীতিবােধ, পাপবােধ ও সামাজিক দায়বােধ সম্বন্ধে ধারণা দিতে হবে। পরিবারের অভিভাবক শ্রেণিকে অভ্যাস ও আচরণে সুশীল হতে হবে, যাতে শিশু মানবিক উৎকর্ষের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। ধর্মীয় অনুশাসনমূলক শিক্ষা তার মননকে পরিশীলিত করে। সিলেবাসে সন্ত্রাসের কুফল সম্পর্কিত পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অবৈধ অস্ত্রের বিক্রয় ও বহন কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। নেশাদ্রব্যের বাজারকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। গণভােটের আয়ােজনপূর্বক জনগণের মতামত নিয়ে ছাত্রদের দলীয় রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া যেসমস্ত রাজনীতিক দল ছাত্র সংগঠনগুলাে পরিচালনা করে তাদের শিক্ষার্থীদের লেজড়বতির বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। গায়ের জোরে নিজের মত প্রচারের প্রবণতা পরিহার করতে হবে এবং রাজনীতিতে পেশির পরিবর্তে বুদ্ধি ও মেধা চর্চার অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, রাজনীতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রনেতাদের মাঝে বৃহৎ সমঝােতা গড়ে তুলতে হবে। এভাবে একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক মনােভাব নিয়ে কাজ শুরু করলে অতি সহজেই পবিত্র শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে, অন্যথায় নয় । 

উপসংহার: শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস থাকলে তা যেমন শিক্ষার মৌল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে, শিক্ষাঙ্গনের পবিত্রতাকে নষ্ট করে তেমনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মন-মানসিকতার বিকাশ ও মুক্তবুদ্ধি চচার পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই শিক্ষাঙ্গন থেকে সকাল নামক অনান্তত জল নির্মূল করে গােটা জাতির মমপাড়া দূরীকরণে একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কারণ জাতির ভবিষ্যৎ সন্তানদের লেখাপড়া শিখাতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পিরবেশ বজায় রাখা একান্ত কর্তব্য। এ ব্যাপারে সকলের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হলে আমাদের শিক্ষাঙ্গন থেকে অবশ্যই সন্ত্রাস পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url